অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তিন দশকের মধ্যে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। বিগত বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। ভোজ্য তেল, চিনি, গমসহ সব খাদ্যপণ্যেরই দাম বাড়ে। মার্চে এই মূল্য সূচক ১৫৯-এর ঘরে পৌঁছায়, যা ১৯৯০’র পর সর্বোচ্চ।
শুধু তাই নয়, মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশেরও বেশি। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও’র প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
মহামারি করোনার প্রভাব শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মুখোমুখি হয় বিশ্ব। পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার জেরে প্রথম আঘাত আসে জ্বালানি খাতে। এরপর বন্ধ হয় খাদ্যশস্য রপ্তানি।
পৃথিবীর রুটির ভান্ডার খ্যাত এই দুই দেশ বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যশস্যের যোগানদাতা। সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় লাফিয়ে বাড়তে থাকে পণ্যের দাম। মূল্যস্ফীতির মুখে পড়ে বেশিরভাগ দেশ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও’র তথ্য বলছে, গেল বছরের মার্চে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের মূল্য সূচক রেকর্ড ১৫৯ দশমিক ৭ এ পৌঁছে। ১৯৯০ সালের পর যা সর্বোচ্চ।
মার্চের পর আরও চার মাস খাদ্যপণ্যের দামের এই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে। এরমধ্যে ভোজ্য তেলের দাম ওই মাসেই সর্বোচ্চ ২৫১ এর ঘরে পৌঁছায়। এপ্রিলে চিনি, মে মাসে শিশুখাদ্য এবং জুনে মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়ে শীর্ষে পৌঁছায়।
জুলাইয়ে খাদ্যশস্য সরবরাহে দুই দেশ চুক্তিতে পৌঁছালে কমতে থাকে দাম। যদিও এই ধারা এখনও অব্যাহত। তবে চুক্তি ভঙ্গ হলে আবারও দাম বাড়ার আশংকা রয়েছে।
এফএও জানায়, উন্নত দেশগুলো ভর্তুকিসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ধাক্কা সামলাতে পেরেছে ওইসব দেশের মানুষ। তবে দুভোর্গ পোহাতে হয়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোকে।
Leave a Reply